সোনারদেশ২৪ রিপোর্টঃ
ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর থানায় কর্মরত নারী পুলিশ কনস্টেবল মোছা. হালিমা খাতুন গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যা করার ঘটনায় তার সহকর্মী উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার পরই এসআই মিজানুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে মিজানুল এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন।
সোমবার (০৩ এপ্রিল) দিবাগত রাতে নারী পুলিশ কনস্টেবল হালিমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গৌরীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ধর্ষণ ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে এসআই মিজানুলকে মঙ্গলবার (০৪ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহের একটি আদালতে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, গৌরীপুর থানায় কর্তব্যরত নারী কনস্টেবল হালিমা খাতুন গত রবিবার সন্ধ্যায় থানা চত্বরে নিজ কক্ষে অগ্নিদগ্ধ হন। পরে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলাম। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আগামীকাল বুধবার (০৫ এপ্রিল) দেয়ার কথা রয়েছে।
এসময় ওসি দেলোয়ার জানান, গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে হালিমার বাবা মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন বাদী হয়ে গৌরীপুর থানায় ধর্ষণ ও আত্মহত্যা প্ররোচনায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পরই এসআই মিজানুলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মিজানুল এখন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার (০২ এপ্রিল) গৌরীপুর থানায় কর্মরত অবস্থায় ওই নারী পুলিশ কনস্টেবল তার শরীরে আগুন ধরিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম হালিমা খাতুন (২৪)। তিনি নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার গয়রাকান্দা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিনের মেয়ে। হালিমার সঙ্গে গৌরীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুলের প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে একাদিক সূত্রে জনা গেছে। সেই প্রেমের সর্ম্পকের কারণেই হালিমা আত্মহত্যা করেছেন। তবে এই অভিযোগ ওঠার পর পরই ওই এসআইকে প্রত্যাহার করে ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্সে পাঠানো হয়।