সোনারদেশ২৪ রিপোর্টঃ
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করায় প্রধানমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার সংসদে কানাডার আদালতে পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির ষড়যন্ত্র সংক্রান্ত মামলা খারিজ হওয়ার বিষয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। জাতীয় পার্টির সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিষয়টি উত্থাপন করেন।
বিকাল পৌনে ৫টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। কারণ তারাই নষ্টের মূল।’ এ সময় ভুক্তভোগীদের বিশ্বব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার করারও পরামর্শ দেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আর বিশ্বব্যাংক কাগজপত্রের ভিত্তিতে যে কিছু করে না তা প্রমাণিত হয়েছে। তারা দু-তিন জন ব্যক্তির স্বার্থের কারণে একটা নির্দোষ দেশকে দোষী করার চেষ্টা করেছে। এটা দুঃখ জনক।’
পরে এ বিষয়ের ওপর বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক, সরকারি দলের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ডা. দীপু মনি, আবদুল মান্নান, জাতীয় পার্টির জিয়াউদ্দিন বাবলু ও জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগকারীদের ‘দেশের শত্রু’ বলে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, ‘এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত হবে।’
তোফায়েল আহমেদের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত পোষণ করে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী পদ্মা সেতুর অর্থায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, ‘বিশ্ব ব্যাংক নিজেরাই করাপ্ট (দুর্নীতিগ্রস্ত)। তারা দুর্নীতির ওপর দাঁড়িয়ে আছে।’